আপনি কি eSIM সম্পর্কে জানেন? ফিজিক্যাল সিম বা সাধারণ সিম সম্পর্কে তো অনেক শুনেছেন । মোবাইল ডিভাইসের ই-সিম কার্ড বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । eSIM কার্ড বলতে সাধারনত ইলেক্ট্রনিক সিম যা এমবডেড অবস্থায় ডিজিটাল রূপে মোবাইল ডিভাইসের মেমোরিতে স্টোর করা হয়। প্রাথমিকভাবে বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রামীনফোন mobile operator Company ই-সিম সার্ভিস ব্যাবহারের সুবিধা প্রদান করছে। এছারাও Teletalk , Banglalink , Robi ই-সিম সার্ভিস ব্যাবহারের সুবিধা প্রদান করছে।
ই-সিমের সুবিধা সমূহ
eSIM একটি আধুনিক প্রযুক্তি যা বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে। নিচে ই-সিমের প্রধান সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো,
১। সহজ পরিবর্তন:
- eSIM সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সহজে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করা। আপনি একাধিক অপারেটরের সাথে সংযুক্ত হতে পারেন এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করতে পারেন।
২। ডুয়াল সিম সুবিধা:
- eSIM সাহায্যে আপনি একই ফোনে ফিজিক্যাল সিম এবং ই-সিম ব্যবহার করতে পারেন, যা ডুয়াল সিমের সুবিধা দেয়।
৩। নিরাপত্তা:
- eSIM চুরি বা হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়, কারণ এটি ডিভাইসে এম্বেড করা থাকে এবং সহজে অপসারণযোগ্য নয়।
৪। জায়গা সাশ্রয়:
- eSIM এ ফিজিক্যাল সিম কার্ডের জন্য ডেডিকেটেড সিম ট্রে না থাকায় ডিভাইস ডিজাইন আরো Compact হতে পারে।
৫। পরিবেশ বান্ধব:
- eSIM ব্যবহারের মাধ্যমে প্লাস্টিক সিম কার্ডের উৎপাদন কমানো যায়, যা পরিবেশের জন্য খুব উপকারী।
৬। সহজ অ্যাক্টিভেশন:
- ই-সিম অ্যাক্টিভেশন প্রক্রিয়া বেশ সহজ। কিউআর কোড স্ক্যান করে বা অপারেটরের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে কয়েক মিনিটের মধ্যে ই-সিম অ্যাক্টিভেট করা যায়।
eSim Technology ব্যবহারকারীদের জন্য নানা ধরনের সুবিধা প্রদান করে, যা মোবাইল Network ব্যবহারে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে নেটওয়ার্ক পরিবর্তন, নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ বান্ধব সমাধান পাওয়া যায়, যা আধুনিক মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ই-সিমের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফিজিক্যাল Sim card এর ঝামেলা থেকে মুক্তি পায়,কারন এটি সংরক্ষন করার প্রয়োজন হয় না , যেকোনো সময় যেকোনো নেটওয়ার্কে সংযোগ স্থাপন করতে পারে, এবং এটি ডিভাইসের Designe কে আরো সংকুচিত করতে সাহায্য করে। ফলে, ই-সিম প্রযুক্তি যুক্ত মোবাইল Device এ যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
ই-সিমের অসুবিধা সমূহ
eSIM একটি আধুনিক প্রযুক্তি হলেও এতে বিভিন্ন অসুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। নিচে ই-সিমের প্রধান প্রধান কিছু অসুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো,
১। সাপোর্ট লিমিটেশন:
- এর প্রধান অসুবিধা হল সব স্মার্টফোন বা ডিভাইস eSIM সাপোর্ট করে না। শুধুমাত্র নতুন ও আপডেটেড মডেলগুলোই ই-সিম সাপোর্ট করে থাকে।
২। অপারেটর সাপোর্ট:
- সব মোবাইল অপারেটর eSIM সাপোর্ট করে না। কিছু নির্দিষ্ট অপারেটর এবং অঞ্চলেই ই-সিম ব্যবহারের সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
৩। টেকনিক্যাল সমস্যার সম্ভাবনা:
- এটি একটি নতুন প্রযুক্তি হিসেবে ই-সিমে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন অ্যাক্টিভেশন বা সফটওয়্যার বাগ জনিত সমস্যা ।
৪। Battery খরচ:
অনেক ক্ষেত্রে eSim ফিজিক্যাল সিমের চেয়ে বেশি ব্যাটারি খরচ হতে পারে। বিশেষ করে, ডুয়াল সিম ব্যবহারের সময় এটি আরো বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।
Smartphone এ ই-সিম ব্যবহারের নিয়ম
১। eSIM সাপোর্ট নিশ্চিত করুন:
- সর্বপ্রথমে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার স্মার্টফোন ই-সিম সাপোর্ট করে। এ তথ্য আপনি ডিভাইসের ম্যানুয়াল বা নির্মাতা কোম্পানির ওয়েবসাইটে পেতে পারেন।
২। অপারেটরের সাথে যোগাযোগ:
- আপনার Mobile অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করুন এবং ই-সিম সাপোর্ট এবং অ্যাক্টিভেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন।
৩। QR কোড স্ক্যান:
- ই-সিম Activation প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অপারেটর একটি কিউআর কোড সরবরাহ করবে। আপনার ফোনের সেটিংসে গিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-সিম অ্যাক্টিভেট করুন।
৪। eSim প্রোফাইল ডাউনলোড:
- QR কোড স্ক্যান করার পরে, আপনার ফোনে ই-সিম প্রোফাইল ডাউনলোড হবে। এই প্রোফাইল ডাউনলোড হলে আপনার ই-সিম অ্যাক্টিভেট হয়ে যাবে।
৫। নেটওয়ার্ক সেটিংস চেক:
- ই-সিম অ্যাক্টিভেশনের পরে, নেটওয়ার্ক সেটিংস চেক করুন এবং প্রয়োজন হলে ডিভাইস টি রিস্টার্ট করে নিন ।
সকল আধুনিক প্রযুক্তির কিছু সুবিধা অসুবিধা বিদ্যমান থাকে তেমনি eSIM হলো একটি আধুনিক এবং সুবিধাজনক প্রযুক্তি যা মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ এবং নিরাপদ নেটওয়ার্ক পরিবর্তনের সুযোগ দেয়। যদিও ই-সিমের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এই সীমাবদ্ধতাগুলোও কমে আসবে। eSIM সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইল Device এর সক্ষমতা বাড়াতে পারেন।
eSIM Supported ডিভাইস সমূহ
সকল মডেলের ডিভাইসেই ই-সিম সাপোর্ট করে না। নিম্নে কিছু eSim সাপোর্ট কৃত ডিভাইসের মডেল লিস্ট আকারে দেওয়া হল,
BRAND | MODEL |
Apple | iPhone 12 Mini |
iPhone 12 | |
iPhone 12 Pro | |
iPhone 12 Pro Max | |
iPhone 13 mini | |
iPhone 13 | |
iPhone 13 Pro | |
iPhone 13 Pro Max | |
iPhone SE (2022) | |
iPhone 14 | |
iPhone 14 Plus | |
iPhone 14 Pro | |
iPhone 14 Pro Max | |
iPhone 15 | |
iPhone 15 Plus | |
iPhone 15 Pro | |
iPhone 15 Pro Max | |
iPad Pro (2018 and onwards) | |
iPad Air | |
iPad | |
iPhone 12 Mini | |
iPhone 12 | |
iPhone 12 Pro | |
iPhone 12 Pro Max | |
iPhone 13 mini | |
iPhone 13 | |
iPhone 13 Pro | |
iPhone 13 Pro Max | |
iPhone SE (2022) | |
iPhone 14 | |
iPhone 14 Plus | |
iPhone 14 Pro | |
iPhone 14 Pro Max | |
SAMSUNG | Galaxy S20 |
Galaxy S20+ 5g | |
Galaxy S20 Ultra | |
Galaxy S20 Ultra 5G | |
Galaxy S21 | |
Galaxy S21+ 5G | |
Galaxy S21 Ultra 5G | |
Galaxy S22 | |
Galaxy S22+ | |
Galaxy S22 Ultra | |
Galaxy Note 20 Ultra 5G | |
Galaxy Note 20 | |
Galaxy S23 | |
Galaxy S23+ | |
Galaxy S23 Ultra | |
Galaxy S24 | |
Galaxy S24+ | |
Galaxy S24 Ultra | |
Pixel 3 | |
Pixel 3a | |
Pixel 4 | |
Pixel 4a | |
Pixel 5 | |
Pixel 6 | |
Pixel 6a | |
Pixel 6 Pro | |
Pixel 7 | |
Pixel 7 Pro | |
Pixel 8 | |
Pixel 8 Pro | |
Pixel Fold | |
Motorola | Razr 2019 |
Edge 5g | |
Razr 40 | |
Razr 40 Ultra | |
Razr + | |
Edge+ | |
Edge 40 | |
Edge 40 Pro | |
G52J 5G | |
G52J 5G Ⅱ | |
G53J 5G | |
NOKIA | XR21 |
X30 | |
G60 5G | |
Sony | Xperia 10 III Lite |
Xperia 10 IV | |
Xperia 10V | |
Xperia 1 IV | |
Xperia 5 IV | |
Xperia 1 V | |
Sony Xperia Ace III | |
OnePlus | OnePlus 11 |
Oppo | Find N2 Flip |
Find X3 Pro | |
Reno 5 A | |
Find X5 | |
Find X5 Pro | |
A55s 5G | |
Reno 6 Pro 5G | |
Xiaomi | 12T Pro |
13 | |
13 Lite | |
13 Pro | |
13T Pro |